মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বদলি আড়াইহাজারে জামায়াতে ইসলামীর পথসভায় বিএনপির হামলা: আহত ৫ নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন সমাজসেবক মাসুদুজ্জামান রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ আড়াইহাজারের শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার সোনারগাঁওয়ে প্রাচীন স্থাপত্যকীর্তি কোম্পানিকা সেতু রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে: আবদুল্লাহ আল আমিন শহরে মধ্যরাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আটক ২ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে গুলির ঘটনায় ছাত্রদল নেতা বাবু বহিষ্কার

শহরের মানুষদের জাগাতে জাগাতে ক্লান্ত হয়ে গেছি: নাসিক মেয়র আইভী

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২২০ Time View

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ এত ধনীর শহর কিন্তু কি কারণে তারা (ব্যবসায়ীরা) মানবতার সেবায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় না। এগুলো আপনারা সবাই জানেন। এখানে যদি আমি জড়িত না থাকতাম তাহলে অনেকেই সহযোগিতা করতো। আমি অনুরোধ করবো, সকল ভয়-ভীতিকে অতিক্রম করে আল্লাহকে ভয় পেয়ে মানব সেবায় এগিয়ে আসতে।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেওভোগের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টারে শয্যা বৃদ্ধি ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

তিনি বলেন, ৯ বেডের কিডনী ডায়ালাইসিস সেন্টারের বাড়িয়ে ১৫টি করা হয়েছে। আমরা আইসিইউ করার কথা ভাবছি। একটি হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই করা হবে। সিটি করপোরেশন চিন্তা করবে কিভাবে কি করা যায়। পাশাপাশি এখানে যে কার্যক্রম সচল ছিল তা অব্যাহত থাকবে। একটি ব্লাড ব্যাংক করার কথা ছিল, সেটাও এখানে হবে।

আইভী বলেন, ২০০৩ সালে যখন পাশ করে আসলাম, তখন নারায়ণগঞ্জবাসীর চাহিদা ছিল ড্রেন ও রাস্তা করে দেয়া। এরপর ৮বছর পৌরসভায় ড্রেন আর রাস্তাই করেছি। ২০১১ সালের নির্বাচনে অনেক সময় আমাকে ‘ড্রেন আইভী’ ও বলা হয়েছে। কারণ এমন কোনো অলিগলি ছিল না যেখানে ড্রেন ও রাস্তা করিনি। পরবর্তিতে সিটি করপোরেশন হওয়ার পর তখনও সিদ্ধিরগঞ্জ ও নদীর ওইপাড়ের মানুষের চাহিদা ছিল রাস্তা ও ড্রেন। ৪ বছর এসব এলাকায় বড়বড় রাস্তা ও ড্রেন করেছি। আমি খুব কমই সময় পেয়েছি মানবিকভাবে অন্যান্য কাজ করার জন্য। এরপরও ৪টি আউট-ডোর হাসপাতাল করেছি। বন্দরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ৬ তলা হাসপাতালটি সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনকে দিতে চাচ্ছি। পাশের একটি ভবনে নার্সিং ইনস্টিটিউট করছি। কারণ আমাদের নিজেদের নার্স কম এবং জাপানে লোকবল পাঠাবো।

তিনি আরও বলেন, দুবাই, আমেরিকা, কানাডাতে নারায়ণগঞ্জের প্রচুর ভাইদের বাড়িঘর আছে। তাদেরও এই শহরের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। তাদের অনুরোধ করবো, সহযোগিতা করার জন্য।

তিনি বলেন, ভয় নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনো যদি জেগে না উঠেন তাহলে আগামী ৫ বছর কি করবেন আপনারাই জানেন। আমি আপনার সাথে ২০ বছর যাবৎ আছি। শহরের মানুষদের জাগাতে জাগাতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমি জানি না কত পারবো। নিজেদের জন্য জাগতে হবে নিজেদের প্রয়োজনে। যে নিজে জাগে, তার সাথে ১০ জন দাঁড়ায়। এবং সেই কাজটাই আপনারা করেন। তবে আপনাদের পাশে আছি। সোচ্চার হয়ে থাকবো। আপনাদের সেবাই করতে থাকবো। মার-টাইর যাই খাই না কেন শহর ছেড়ে যাওয়ার জায়গা নাই। কারণ এটাই জন্মস্থান। আমি আপনাদের পাশে থেকে শত বিপদের মাঝেও দাঁড়িয়ে থাকতে চাই, পাশে থাকতে চাই। এই দেশের আলো-বাতাস খেয়ে বড় হচ্ছি। দেশের প্রতি এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের চিফ অপারেটিং অফিসার ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব হোসনে আরা বেগম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিইও মোহাম্মদ জাকির হোসেন, নাসিক কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, মনিরজ্জামান মনির, শাহীন মিয়া, নারী কাউন্সিলর শাওন অংকন ও সনিয়া সাউদ প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
Translate »