আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা খাম্বা দিয়েছে, বিদ্যুৎ দেয়নি। এখন শেখ হাসিনার আমলে শতভাগ বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে। খেলা হবে! অক্টোবর পার হয়ে যাচ্ছে। ফখরুল নাকি ঢাকা অবরোধ করবে। এ নারায়ণগঞ্জের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, জনগণ তাদের জবাব দিবে। আগুন নিয়ে আসলে হাত পুড়ে দেব। লাঠি নিয়ে আসলে হাত ভেঙে দেব।
তিনি বলেন, ফখরুল তত্বাবধায়ক বলতে বলতে শেষ। দুই সেলফিতে আপনাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ভারতে এক সেলফি এরপর নিউইয়র্কে আরেক সেলফি। দুই সেলফিতে বিএনপির ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তরে জ্বালা। পদ্মা সেতু হয়ে গেল মেট্রোরেল হয়ে গেল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেল। একদিনে একশ সেতুর উদ্বোধন।জ¦ালারে জ্বালা অন্তরে জ¦ালা।
তিনি বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার মরিয়া ভূত হইয়া গেছে। এগুলো মাথা থেকে নামান। নয়ত এ ভূতে বিএনপি শেষ। তত্বাবধায়ক সরকার চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে আছে। এ তত্থাবধায়ক আর কোনদিন চোখ মেলবে না। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার প্রবেশপথ নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে আওয়ামীলীগের শাস্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা ঘেরাঘুরি করে ফখরুল বলে। শেখ হাসিনা কোথায় গেছে, জি-২০ তে। কী সম্মান মোদি দিয়েছে। নিউইয়র্কে গিয়েছে কী সম্মান পেয়েছে। শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। দেশের প্রয়োজনেই তিনি বাইরে যান। তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন আমন্ত্রণে। তিনি যাচ্ছেন দেশের জনগণের জন্য।
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, অচিরেই তেল-চাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝবেন না। তার ওপর আস্থা রাখুন। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাতে মাত্র ৩ ঘণ্টা ঘুমান। দেশ ও জনগণের কল্যাণে তিনি রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভুল করবেন না। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এ নারায়ণগঞ্জকে অনেক দিয়েছেন। আশা করি, নারায়ণগঞ্জবাসী এর প্রতিদান দিবেন। আগামীতে আরও দিবেন। মির্জা ফখরুল বলেছেন ঢাকাকে অচল করে দিবে। আমরা বলতে চাই দেশের মানুষই আগামীতে বিএনপিকে অচল করে দিবে। এ নারায়ণগঞ্জই যথেষ্ট বিএনপিকে রুখে দিতে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন কোয়ার্টার ফাইনাল, সামনে সেমিফাইনাল, ফাইনাল হবে জানুয়ারিতে। এবার খেলা হবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ওরা গণতন্ত্রের কী জানে। ওরা জানে মানুষ খুন, লুটপাট, ভোটচুরি। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করেছিল বিএনপি। এদের হাতে বাংলাদেশের মানুষ ক্ষমতা আর ফিরিয়ে দেবে না। আপনাদের বলছি বিএনপি থেকে সাবধান।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপির সঙ্গে আর কোনো সমঝোতা হবে না। তোমরা (বিএনপি) জনগণের শত্রু। জনগণের শত্রুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনো সমঝোতা করবে না।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, সোনারগাঁয়ের সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত ও মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া সাজনু প্রমুখ।