নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩৪০টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৪ হাজার ১৬৭ শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার ৮১৫ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এছাড়া ক্যাম্পপেইন চলাকালীন সময়ে জনসাধারণের মাঝে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) নগরভবনের ৬তলায় সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নাসিকের মেডিকেল অফিসার ডা. নাফিয়া ইসলাম।
ডা. নাফিয়া ইসলাম আরও জানান, সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডকে তিনটি জোনে ভাগ করে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে জোন-১ সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ১ থেকে ৯নং ওয়ার্ডে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৭২৭ শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪৪ হাজার ৯০৭ শিশু, জোন-২ নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ১০ থেকে ১৮নং ওয়ার্ডে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৮০৩ শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩৯ হাজার ৭৩ শিশু, জোন-৩ কদম রসুল অঞ্চলে ১৯ থেকে ২৭নং ওয়ার্ডে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ৬ হাজার ৬৩৭ শিশু ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২৫ হাজার ৮৩৪ শিশু। সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ১১০টি, নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ১৫০টি ও কদমরসুল অঞ্চলে ৮০টি টিকাদান কেন্দ্রে একযোগে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি জানান, ভিটামিন ‘এ’ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তা নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন একিভুত হয়ে বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করে থাকে।
প্রসঙ্গত: ১ জুন থেকে দেশব্যাপি ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি নিল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ শেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।