চলন্ত ফ্যান খুলে পড়ে সিদ্ধিরগঞ্জে রেবতী মোহন স্কুল এন্ড কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার হলে এক পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। তবে বিভিন্ন সূত্রমতে তিন পরীক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে এ বিষয়ে একাধিকবার কলেজের অধ্যক্ষ নুর ইসলামের মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে রেবতী মোহন স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী ফাল্গুনী আক্তার ঈশা (১৮) সিদ্ধিরগঞ্জের এনায়েতনগর চৌধুরীবাড়ি এলাকার মো. ইসলামের মেয়ে। তিনি সরকারি আদমজীনগর এমডব্লিউ কলেজের শিক্ষার্থী। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
এ বিষয়ে রেবতী মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি আলহাজ্ব কবির হোসেন বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন দুপুর বারো টার দিকে আমরা একজন শিক্ষার্থীর মাথায় সিলিং ফ্যান পরে আহত হওয়ার খবর পাই। এ ঘটনার পরে কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার এসে আহত শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে আমরা শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীকে দ্রুত সাইনবোর্ড এর প্রো এ্যাকটিভ মেডিকেলে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তার গালের ডানপাশ কেটে যাওয়ায় ৩টি সেলাই দেয়া হয়। বর্তমানে মেয়েটি আশঙ্কামুক্ত। আসলে দুর্ঘটনায় কারো হাত নাই। আমি মেয়েটির দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হঠাৎ এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত পরীক্ষার্থীর গালে ও হাতের এক অংশ কেটে যায়। এ সময় কলেজের নিয়োজিত ডাক্তারের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ করে তাকে প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইখানের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে পরীক্ষার হলে আনা হয়। এ সময় তাকে পরীক্ষা শেষ করতে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানান তিনি।