নারায়ণগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষে পুলিশের টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও ছররা গুলিতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে আহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। সকাল থেকে শহরে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি, আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা ও পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি চলছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান শহরের চাষাড়ার দিকে অগ্রসর হলে শিক্ষার্থীরা সেটি ভাংচুর করে। পরে ভাংচুর করার পর গাড়িটি চাষাড়ায় গেলে শিক্ষার্থীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এসময় গাড়িতে চালক ছাড়া কোন পুলিশ সদস্য ছিল না। পৌনে একটার দিকে পুলিশ এ্যাকশনে গিয়ে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও মুহুমুহ টিয়ারসেল ও গুলি ছুড়তে থাকে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে চাষাড়ায়।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্লে কার্ড ও পোস্টার দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা শহরের প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়কের দুই নাম্বার রেল গেইট ও চাষাড়া এলাকা প্রদক্ষিন করে। পরে একটি মিছিল দুই নাম্বার রেল গেইট এলাকায় ও একটি মিছিল চাষাড়া গোল চত্তরে বসে পড়ে। এতে শহরের চারটি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও ঢাকার বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের অংশ নিয়েছেন। এতে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কার্যত অচল হয়ে পড়ে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।