নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ায় শহীদ জিয়া হলে নির্মিত জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় এবং এর সার্বিক বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি’র নেতৃত্বে সাক্ষাৎ করেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, বিএনপি নেতা এড. মাহমুদুল ইসলাম আলমগীর, এড. আজিজুল ইসলাম মোল্লা, এড. রাসেল সিরাজী, এড. একেএম ওমর ফারুক নয়ন ও এড. আসমা হেলেন বিথী প্রমুখ।
সাক্ষাতকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, ২০১৫ সালে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে জিয়া হলও রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে জিয়া হল ভাঙ্গার কোনো পরিকল্পনা নেই। আর যদি জিয়া হল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভাঙ্গাতো তাহলে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল যথার্থ সম্মান দিয়েই সরিয়ে নেওয়া হতো।
তিনি আরও বলেন, জিয়া হলের নাম পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেউ যদি এটার নাম অন্য কিছু বলে এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। তবে সরকারিভাবে এখানো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আর কে বা কারা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেছে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছে।
সাক্ষাৎ শেষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় মহানগর বিএনপির ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম দেওয়া পর আজকে আমরা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ আজকে আমরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেছি। জেলা প্রশাসক আমাদেরকে বলেছেন, সরকারিভাবে জিয়া হলের নাম পরিবর্তন করে নতুন ভবন তৈরি করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, সেই হিসাবে এই ভবনটিকে ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসক। কিন্তু এখনই তা বাস্তবায়নের কোন নীতিগত সিদ্ধান্ত আসেনি। এখানে ছয় দফা ভবন বা অন্য কিছু করা হবে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক বিষয়গুলো ছাড়ানো হচ্ছে। আমরা জানি, সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশেই জিয়াউর রহমান ম্যুরালটি ভাঙ্গা হয়েছে। শামীম ওসমান অবৈধভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া হলের নাম পরিবর্তন করতে চায়। তিনি এর আগেও জাতীয় সংসদ ও বিভিন্ন মিডিয়ায় বলেছে জিয়া হলটি ভেঙে এখানে টাউন হল করা হোক।
তারা আরও বলেন, আমাদের দাবি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ম্যুরালটি পুনঃস্থাপন করা হোক। আর কেউ যেনো জোর করে এখানে জিয়া হলের নাম পরিবর্তন করতে না পারে। জিয়া হলের নাম জিয়া হলে থাকবে। আমরা জেলা প্রশাসনের সাক্ষাৎ করে এই বিষয়গুলো বলেছি। যদি জিয়া হল নিয়ে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র করা হয় আর তা ভাঙ্গা হয় তাহলে নারায়ণগঞ্জবাসীকে নিয়ে ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবো।