১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। দেশের সেই ক্রান্তিকালে মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জিয়াউর রহমান ঘোষণা না দিলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। মেজর জিয়াউর রহমান শুধু মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি, তিনি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ মাতৃকাকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে মাসদাইর বাজার এলাকায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, ফতেহ রেজা রিপন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম আহমেদ, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, নজরুল ইসলাম সরদার, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন রিপন, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বরকত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলী সাদিক শিপলু, ১৩ং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড. আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, সাধারণ সম্পাদক হিরা সরদার, ১৪ং ওয়ার্ড সভাপতি মনির হোসেন, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাসুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী , ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউল হাসান নাঈম, ১৮ং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহ জালাল, সাধারণ সম্পাদক, আল আরিফ, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মহানগর যুবদল নেতা আলী হোসেন সৌরভসহ বিএনপি’ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের কারণে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকার জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেছিল। অথচ বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার জিয়াউর রহমানের নাম এদেশ থেকে মুছে ফেলতে চাইছে কিন্তু জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের মানুষের অন্তরে গাঁথা রয়েছে, যা কোনদিনও মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
এড. সাখাওয়াত আরো বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকীতে আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই মহান নেতাকে যার জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। আমরা মহান এই নেতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। সেইসাথে গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি। এই দুজনের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে আবারো গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা হবে, সে পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম অব্যহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থাকার আহবান জানাচ্ছি।