সিদ্ধিরগঞ্জে নাশকতার মামলার আসামী ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা একটি পিস্তলের লাইসেন্সের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। যদিও তিনি এখন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। এপ্রিল মাসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনটি করলে সেটি তদন্তের জন্য সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে আবেদনটি তদন্তের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে পাঠালে গত সপ্তাহে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মহিউদ্দিন মোল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক থাকাকালীন নাশকতা, সরকারী কাজে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় রয়েছে দু’টি মামলা (নং-৫/ ৬/১/২০১৩ইং ও (২) ১/১০/২০১৮ইং)। এ দু’টি মামলার এজহারভূক্ত আসামী তিনি। তবে তিনি এখন নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের নেতা বলে জানাগেছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, যদি কেউ অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে সংশ্লিষ্ট থানা ও ডিএসবি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা বিষয়টি বিবেচনা করে খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দিবে। তবে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা থাকলে তাকে লাইসেন্স দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
প্রসঙ্গত: গত ৭ ডিসেম্বর মহিউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি। ঐ সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, তাদের জমি দখল করার জন্য মহিউদ্দিন মোল্লাগংরা তার স্ত্রীকে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, তাৎক্ষনিক ৯৯৯ ও থানা পুলিশকে ফোন করেও আমরা কোনো ন্যায় বিচার পাইনি। এসম মারধর করাসহ হত্যার ভয় দেখিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে সই নেয়ার চেষ্টা করে। এতে ব্যার্থ হয়ে আলমগীর হোসেনকে হাত-পা বেঁধে মহিউদ্দিনগংরা ফেলে দেয় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। পরে তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।