অনিয়ম ও দূর্নীতি যেন সমাজ ব্যবস্থায় স্বাভাবিক হয়ে গেছে। যারা সৎ, দেশ প্রেমিক ও ধার্মিক তারা সমাজে অস্বাভাবিক হয়ে আছেন। সমাজ থেকে দূর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে হবে। সমাজে অন্যায় অবিচার হচ্ছে। ফলে আইনের শাসন বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। রবিবার (২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৪ তম তীরোধান দিবসে আশ্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জাতীয় পার্টির প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম, আশ্রম সভাপতি অশোক মাধব রায়, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শংকর কুমার দে, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, সহ সভাপতি আজিজুর রহমান বাদল, বারদি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি সভাপতি আমীন হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার প্রমুখ।
জিএম কাদের বলেন, এক শ্রেণীর মানুষ আইনের উর্ধ্বে থাকে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হলে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়। আইনের উর্ধ্বে থাকার কারনে তাদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। আমরা সত্যিকার অর্থেই আইনের শাসন বাস্তবায়ন চাই। সমাজের অপরাধীরা অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত হোক।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, আনোয়ার আজীম আনার হত্যাকান্ড খুবই দুঃখজনক। তবে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে কিনা তা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। এ কারণে স্পীকার তার আসন শূন্য ঘোষনা করতে পারছেন না। তবে অপেক্ষা করছি। হয়তো একটা ফলাফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, সাংসদ আনারকে জড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমে যা শুনতে পাচ্ছি, এগুলো খুবই দুঃখজনক। ওনার মতো একজন উচ্চ পর্যায়ের ও দায়িত্বশীল ব্যাক্তির নৈতিক স্থলনের সঙ্গে সত্যিই জড়িত থাকেন তাহলে আমরা এ ধরনের আর কোন ব্যক্তি এমন মহান জায়গায় আসুক এটা চাই না।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, লোকনাথ ব্রহ্মচারী জনগণের কল্যাণে নিজেকে সব সময় বিলিয়ে দিয়েছেন। মানুষের মাঝে জ্ঞান বিলিয়েছেন। তার বাণী নিয়ে আমরা যেন সমৃদ্ধ হতে পারি সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে। ঈশ্বরের নৈকট্য লাভের জন্য ও দেশের উন্নয়নের সহায়ক হয়। এটা আমাদের পরম পাওয়া। সকল ধর্মে আছে জনগনের সেবা মানে ঈশ্বরের সেবা। আমাদের ধর্ম আলাদা হলেও আমরা রক্ত মাংসে গড়া মানুষ। কেউ যেন ধর্মকে ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য সম্পর্ক গড়ে উঠলে হিংসা বিদ্বেশ দূর হবে। তাহলে জনসেবা মানুষের কল্যাণে কাজে আসবে। এখানে এসে দেখলাম হিন্দু, মুসলিম ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে এসে ঈশ্বরকে পাওয়ার আকাঙ্খায় রাস্তায় শুয়ে আছেন। এগুলো দেখে আমি অভিভূত। এটা মানুষের শুভ চেতনা।