বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর টানা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আড়াইহাজার উপজেলা। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পাঁচরুখী এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জন পুলিশ সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তাফা রাসেল।
সংঘর্ষের পর পুলিশ ও বিজিবি ওই এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করে। এ সময় ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
আড়াইহাজার থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত ) হুমায়ুন কবির মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল মতিন ও কনস্টেবল নজরুলসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহতের খবর এসেছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য নজরুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে আটটায় অবরোধের সমর্থনে পাঁচরুখী এলাকায় মহাসড়কে মিছিল বের করে বিএনপির কেন্দ্রীয়সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। মিছিলে শত শত নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটান তারা। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন।
ঘটনার একপর্যায়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটাসহ এলে তাদেরকেও ধাওয়া দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আওয়ামী লীগ কর্মী গুরুতর আহত হন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া জানান, অবরোধের সমর্থনে মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়াই টিয়ার সেল ও গুলি ছোড়ে। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, এতে আমাদের পুলিশের ৬জন সদস্য আহত হয়েছে।