সিদ্ধিরগঞ্জের আলোচিত কিশোর গ্যাং টেনশন গ্রুপ নেতা রাইসুল ইসলাম সীমান্তের বিরুদ্ধে এবার এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়। রাইসুল ইসলাম সীমান্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিকের ছেলে। বুধবার (২২ মে) সকালে সাদমান চৌধুরী (২১) নামের এক যুবক দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন- ঢাকার তানভীর আহমেদ মাহির (১৯) ও রাইসুল ইসলাম সীমান্তসহ আরও ১০ জন। ভুক্তভোগী সাদমান চৌধুরী ঢাকার লালবাগ থানার ইস্কান্দার চৌধুরীর ছেলে।
কিশোর গ্যাং টেনশন গ্রুপের প্রধান সীমান্ত ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অবিযোগ দীর্ঘদিনের। ২৪ মার্চ রাইসুল ইসলাম সীমান্তসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১৭ সদস্য র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কিছুদিন পূর্বে জামিনে বেরিয়ে আসে।
অভিযোগমতে, অপহরণের শিকার সাদমান চৌধুরী তার বন্ধু তানভীর আহমেদ মাহিরের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় ঘুরতে আসে। তারা সেখানে আড্ডা দেওয়ার সময়ে ‘টেনশন গ্রুপ’ লিডার রাইসুল ইসলাম সীমান্ত তার সঙ্গীয় দলবল নিয়ে তাদের আটক করে মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে তানভীর আহমেদ মাহির কৌশলে পালিয়ে যান। পরে সীমান্তসহ তার সহযোগীরা সাদমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন। এরপর তাকে আটক করে তার বড় ভাইয়ের কাছে ফোন করে অর্থ দাবি করে। ঘটনা জানাজানি হলে সীমান্ত ভুক্তভোগী সাদমানের আইফোন-৭ মোবাইল, গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং হাতের আংটি ছিনিয়ে রেখে দেন। প্রথম অবস্থায় সাদমানের মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিলেও পরবর্তীকে তা ফিরে দেন।
মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে সাদমানের ভাই শোভন বলেন, মঙ্গলবার রাতে তার ভাইকে আটক করে তারই ফোন দিয়ে আমাকে কল করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরবর্তীতে আমি অল্প কিছুক্ষণের সময় চাই তাদের কাছে। এক ঘন্টা পর জানতে পারি যে আমার ভাইকে মারধর করে সঙ্গে থাকা মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই একেএম মনজুরুল ইসলাম জানান, আমি এখানো অভিযোগটি হাতে পাইনি, হাতে পেলে ব্যবস্থা নিবো।