বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় নতুন পালপাড়া শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সরকারিদলের গত নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষিত সংখ্যালঘুদের ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহা সমাবেশ করবে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। সেই মহা সমাবেশকে সফল করার লক্ষে মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
বক্তব্যে অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক সহিংসতা চলবে। এজন্য রাজনৈতিক সহিংসতার সুযোগ নিয়ে দেশের পরিস্থিতিকে আরো অস্থিতিশীল করতে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে টার্গেট করা না হয় সেজন্য সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সব রাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের বিল উত্থাপন ও পাশ না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ইতোমধ্যে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের ঘোষণা দেবে। কিন্তু সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের ঘোষণা এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি, যা ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। আগামী ১৭ নভেম্বর মহা সমাবেশে সিদ্ধান্ত হবে। যে সিদ্ধান্ত সেদিন আসবে, তার জন্য ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুরা কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচনের প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হতে চললেও সরকার সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি একটিও বাস্তবায়ন করেনি। যার দরুন বাধ্য হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রাস্তায় নেমে বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এ আন্দোলন করছে৷ আগামী ১৭ নভেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা দিবেন।
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত এ মানবাধিকার আন্দোলন চলবে এবং দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ঘরে ফিরে যাবে না বলে জানান বক্তারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও মহানগর যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি এড. অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. শ্যামল রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. কিশোর মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্রনাথ বসু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পাদিত্য বসু।
আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত মন্ডল, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক শংকর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার শিখন, জেলার সহ সভাপতি পিন্টু পলিকাপ পিউরিফিকেসন, সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক সরকার, মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিষ্ণুপদ সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশীল দাস, রূপগঞ্জ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রমাকান্ত সরকার, সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ গোপাল শর্মা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিলন সরকার, সোনারগাঁ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি লোকনাথ দত্ত, সাধারণ সম্পাদক সহদেব দাস শিশির, বন্দর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল বিশ্বাস, মহানগর ঐক্য পরিষদের সহ সভাপতি আগষ্টিন গোলদার, সহ সভাপতি বিপ্লব ঘোষ মনা, সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন দেবনাথ, বিপ্লব কুন্ডু, সহ সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সাহা, অজয় সুত্রধর, যুব সম্পাদক সুব্রত সাহা, জয়ন্ত কুমার পিন্কু, বিপ্লব বাড়ৈ, ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ হংস কৃষ্ণ দাস, অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুজা পরিষদের সভাপতি শিশির ঘোষ অমর, সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রদীপ কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক রাজীব তালুকদার, সদর পুজা পরিষদের সভাপতি প্রদীপ মন্ডল, মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ আচার্য্য,বন্দর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি হরি সাহা, সহ সভাপতি নারায়ন বর্মন, সাধারণ সম্পাদক সুজন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক সুত্রধর, আড়াইহাজার উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি হারাধন দে, সাধারণ সম্পাদক দুলাল রায়, জেলার নেতা অসিম বড়ুয়া, পিন্টু রায়, সুমন সাহা, শারদাঞ্জলী ফোরাম নারায়নগঞ্জ জেলার সভাপতি আশিষ দাস, সাধারন সম্পাদক উৎপল সাহা, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি আনন্দ কুমার সেরাওগী সুমন, সাধারণ সম্পাদক ভজন চন্দ্র দাস, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রিপন কর্মকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠুন দত্ত বিল্লু, ১৪ ওয়ার্ডের সভাপতি প্রণয় সিংহ, জেলার নেতা জ্যাকি নন্দী, সজীব ঘোষ, সোনারগাঁ উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি রাজিব দাস, সাধারণ সম্পাদক লিটন ভৌমিক, বন্দরের সভাপতি তুলশী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জিতু দাস, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সভাপতি সঞ্জয় পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক গোপাল বর্মন, রুপগঞ্জ উপজেলার সভাপতি বাবুল শীল, সাধারণ সম্পাদক প্রণব পাল, আড়াইহাজার উপজেলার সভাপতি সুকান্ত ভৈামিক অটল, ১৪ নং ওয়ার্ড ঐক্য পরিষদের সভাপতি পংকজ রায়, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত দাস, ১৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ভোলানাথ পোদ্দার, ১৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কৃষ্ণপদ মজুমদার, ১৭নং সভাপতি প্রদীপ দাস, ১৮নং ওয়ার্ড সভাপতি সমীর দেবনাথ, ১৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি মিঠু চক্রবর্তীসহ নেতৃবৃন্দ।
৭ দফা দাবীগুলো হচ্ছে- দাবিসমূহ হচ্ছে- সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন ইত্যাদি।