ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব, পীরসাহেব জৌনপুরী বলেছেন, দেশের সার্বিক কল্যানের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যাদের হাতে মুসলিমদের রক্ত লেগে আছে, আফগানে, সিরিয়াতে, কাশ্মীরে, বাগদাদে, ইরাকে যারা মুসলিমদের নির্বিচারে হত্যা করেছে; সেই পশ্চিমাদের বাংলাদেশে মুরুব্বি বানালে ইসলাম ও মুসলমানের কতটুকু উপকার হবে? দেশের সমস্যা শীর্ষস্থানীয় আলেম উলামাদের নেতৃত্বে দেশের জনগনই সমাধান করবে। ইনশাআল্লাহ। বহিরাগত দেশ থেকে কাউকে মোড়লগীরী করতে দেয়া, পশ্চিমাদের থেকে মুরুব্বি বানানো দেশের জন্যও নিরাপদ না, ইসলাম ও মুসলমানের জন্যও নিরাপদ নয়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নাবী (সা:) উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুরী দরবার শরীফে এক আজিমুশ্বান ইসলামী মহাসম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে শুরু করে সারারাত ব্যাপী নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলীতে আব্বাসী মঞ্জিলের বর্তমান গদ্দীনাশীন পীর ও তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফ্তি ড. মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরীর সভাপতিত্বে আব্বাসী মঞ্জিল জৌনপুর দরবার শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে এই আজিমুশ্বান ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের স্লোগান হচ্ছে দিন বদলানোর। আর আমাদের স্লোগান হচ্ছে দিল বদলানোর। মানুষের দিল (রিদয়, মন) ঠিক, তো মানুষ ঠিক। মানুষ ঠিক, তো সমাজ ঠিক; আর সমাজ ঠিক, তো রাষ্ট্র ঠিক।
সূরাহ দ্বোহা থেকে আল্লাহর আখেরী নাবী মুহাম্মাদ মোস্তফা (সা) এর শান-মান ও মর্যাদার উপর ব্যাপক আলোচনা করেন এবং উম্মাহের জন্য বিশেষ কিছু দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
জৈনপুরী পীর সাহেব বলেন, নবিজী (সা) এর আগমনের রাত্রীটি সকল রাত্রী থেকে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ। এমনকি লাইলাতুল কদর ও লাইলাতুল মিরাজের রাত্রী থেকেও উত্তম ও শ্রেষ্ঠ।
পরিশেষে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রের ও ইসলাম ও মুসলমানের কল্যান কামনা করে ইসলামী মহাসম্মেলনের বিদায়ী মোনাজাত করেন, ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব, পীরসাহেব জৌনপুরী।
ইসলামী সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, তাহরীকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য হযরত মাওলানা এহসানুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী, হযরত মাওলানা ক্বারী ওবায়েদুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী, হযরত মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী এবং আরও দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরামগন।